রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
সারা দেশ থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা, দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা রয়েছে। উদ্যানের বাইরেও জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।
দলটির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, আজকের সমাবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটবে। জামায়াতের উদ্দেশ্য—বড় ধরনের সমাবেশ করে রাজনীতির মাঠে নতুনভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করা। সমাবেশ থেকে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। গণহত্যার বিচার ও সংস্কার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার ভিত্তিতে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা; এ দুই বিষয়ে দলের প্রধান দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দেবেন। পাশাপাশি সমাবেশের মূল মঞ্চে জামায়াতের সমাবেশে জাতীয় নেতা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কর্মপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দলের নেতা এবং জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
এরই মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ, বিরাট আকৃতির ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। থাকবে পর্যাপ্ত ছাউনি, চিকিৎসক দল ও নিরাপত্তাব্যবস্থা। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, দুই মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবে। ১০০ ফুট লম্বা এবং ৩৬ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে এলইডি মনিটর, অতিথিদের বসার সুব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সংযোগ রয়েছে।
জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, এরই মধ্যে সমাবেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের আমিরসহ শীর্ষ নেতারা ঢাকা মহানগরসহ দেশজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ, প্রস্তুতি সভা, মিছিল-সমাবেশসহ সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন। ১০ হাজারের মতো বাস এবং কয়েক জোড়া ট্রেন রিজার্ভ করা হয়েছে। লঞ্চেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শুক্রবার (১৮ জুলাই) সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেন। বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জামায়াতের টার্গেট আজকের সমাবেশে ১৫ লাখ লোকসমাগম ঘটানো।