বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ফল। কিছু দেশি ফলের দাম এখনও ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকলেও আকাশ ছুঁয়েছে বিদেশি ফলের দাম। ফলে গত কয়েক মাসে বেচা-বিক্রি কমেছে ফলের দোকানগুলোতে।
বুধবার (২৭ আগষ্ট)কাউনিয়া বাস স্টান্ডে ফলের দোকান ঘুরে এমন তথ্য জানাগেছে।
কাউনিয়া বাস স্ট্যান্ডে বর্তমানে বিদেশি ফলের মধ্যে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ১৮০ /- কমলা ৩৮০ টাকা, মাল্টা ৩৮০ টাকা, লাল আঙুর ৫০০/- সাদা আঙ্গুর ৫০০/- টাকা, সবুজ আঙুর ৫০০ টাকা, চায়না গালা আপেল ৩০০ /- টাকা,ফুজি আপেল ৩২০ /- ফজলি আম ১২০/- কাচা মালটা ১০০/- টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশি ফলের মধ্যে মালভোগ কলা ১ হালি ৪০ টাকা, প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, পেঁপে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের কাছে তেমন টাকা নেই। দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
ফলে গত কয়েক মাস ধরে ফল ব্যবসায় মন্দা চলছে। বেচা-বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।
কাউনিয়া বাস স্টান্ডে দেশি-বিদেশি ফল বিক্রেতা মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, এখন মানুষের পকেটে টাকা নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলের মতো বিলাসী পণ্য খাবে কী করে? এখন রোগ ব্যাধি হলে রোগীর পথ্য হিসেবে ঠেকায় পরে বাধ্য হয়ে ফলমূল কিনতে কিছু মানুষ।
ফলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমদানি খরচ বুদ্ধি পাওয়ায় বিদেশি ফলের দাম অনেক বেড়েছে।
মা ফল দোকানের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, আগে দৈনিক ১৪-১৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতাম। এখন কোনো কোনো দিন ১ হাজার টাকার ফলও বিক্রি হয় না। গত ৫-৬ মাস ধরে এ অবস্থা চলছে। প্রতিমাসেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলের দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কিনতে আসছে না। চাল, ডাল, তেল, সবজি কিনতেই তো মানুষের পকেট ফাঁকা হয়ে যায় । ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলে টাকা তো ফিরা দুরের কথা উল্টো টাকার অভাবে অনেক কিছু না কিনেই বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে মধ্যে বিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষ কে । তার ওপর ফলের দাম এখন অনেক বেশি । আমাদের ফলের ব্যবসার অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বেচা-বিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।