এবারও ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ও ডাকাতির শঙ্কা
যানজটে এবারো ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা দেখছে খোদ দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। ভয় আছে ডাকাতিরও। তাই উপলক্ষ ঘিরে তোড়জোড় নয় বরং নিয়ম মেনে সারা বছর তদারকি না করলে ঈদযাত্রার ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে না বলে মনে করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি দখলের মানসিকতা থেকে বের না হলে প্রশস্ত সড়ক কোনো কাজে আসবে না বলেও মত তাদের।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি।
ঈদে প্রতি বছর ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পানে ছোটেন প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ। সড়ক-মহাসড়কে তৈরি হয় ভিষণ চাপ, যা ঈদযাত্রায় ডেকে আনে ভোগান্তি।
সারা দেশে যানজটের জন্য ১৫৯টি স্পট চিহ্নিত করে মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডোরগুলোর সড়ক ঈদের ৭ দিন আগেই মেরামতের নির্দেশনা এসেছে। যদিও ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্যে বাইপাইলে সংকীর্ণ হয়ে আছে সড়ক। এর বাইরে মহাসড়কে লেন বিভাজন অমান্য করে উল্টো পথে চলা অটোরিকশার সঙ্গে সার্ভিস লেনে থাকা দখল বাণিজ্য তো আছেই।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও দেশের অন্যান্য অংশের মতো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কপথেও চাপ বাড়বে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের অংশেও ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারা বছরই লেগে থাকা দীর্ঘ যানজট তো আছেই। উত্তরের পথে ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ সামাল দিতে হাতে নেয়া এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর চার লেন প্রকল্পের কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ঈদ এলে লোক দেখানো তোড়জোড়েও বিরক্ত সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি এক পরিসংখ্যান বলছে, গেল আট মাসে সড়কপথে প্রায় এক হাজার ৮৬৮টি ছিনতাই আর ১১৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়কপথে গণপরিবহন চালাতে ডাকাতির আতঙ্কে আছেন বাস মালিকরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এ এ এম আহম্মেদ খোকন সময় সংবাদকে বলেন,
ডাকাতরা যাত্রীবেশে উঠেই ডাকাতি করে। এবার আমাদের স্টাফদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে পথে কোনো যাত্রীকে না উঠায়।
এদিকে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার ঈদে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা অর্ধেক কমার কারণে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।