মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

এপ্রিলের গরম ও হালকা বৃষ্টিতে বাড়তে পারে এডিস, ডেঙ্গুর আশঙ্কা

মেহেদী হাসান, ঢাকা / ১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

এপ্রিলের গরম আর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে আবারও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ। কীটতত্ববিদরা বলছেন, গরম ও হালকা বৃষ্টির পরিবেশ এডিস মশাদের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই বর্তমানে হাসাপাতালে ডেঙ্গু রোগী না থাকলেও স্বস্তির কোন সুযোগ নেই। বছরব্যাপী ডেঙ্গু বিস্তারের শঙ্কা মাথায় রেখেই সিটি কর্পোরেশন এডিসের লার্ভা ধ্বংসের কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছেন তারা।

মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চলতি সপ্তাহেও রোগী ভর্তি ছিলো ২৮ জন। শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সী রোগীই আছে হাসপাতালে।

 

তীব্র পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, রক্তবমি. শ্বাসকষ্ট, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো নানা রকম উপসর্গ নিয়ে এই রোগীরা হাসপাতালে এসেছেন।

ঢাকার অন্য হাসপাতালেও রোগী ভর্তির হার নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ জন। মারা গেছে ১৪ জন।

কীটতত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলছেন, এরিমধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টি। সেই সাথে বাড়ছে গরম। বৃষ্টি ও গরমের এই ভ্যাপসা পরিবেশেই জন্মায় এডিস মশা। কেবল ঢাকাই নয়। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল,বরগুণাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা আছে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, এ বছর এই সময় অন্য বছরের তুলনায় মশার ঘনত্ব বেশি। গত ৬ এপ্রিল এক দিনে প্রায় ৫২ জন আক্রান্ত হয়। অথচ গত বছর এই সময়ে এত আক্রান্ত ছিল না। আমাদের গবেষণা মূলত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, গবেষণা অনুযায়ী মশার ঘনত্ব বেড়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর অনেক বেশি এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত হবে মানুষ, যদি এখনি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। এবার ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু রোগী হবে। সিটি করপোরেশনের মতো পৌরসভায় কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে কোনো কাঠামো নেই। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে মশা নিয়ন্ত্রণে আরও উদ্যোগী হতে হবে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলছেন, আগামী এপ্রিল-মে মাস থেকে সারাদেশে প্রতি সপ্তাহেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। জুন থেকে হবে ভারি বৃষ্টি।

বর্ষার আগের এই সময়টাকে ডেঙ্গুর জন্য বেশী ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কীটতত্ত্ববিদরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে প্রথম তিন মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ৮৪৩ জন। আর ২০২৪ সালে প্রথম তিন মাসে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ