শিরোনাম
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাক অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুইজন। বিএনপিকে সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া যাবে না: ফখরুল গোলাম রাব্বানীর ভাই এএসপি রুহানীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার রংপুরের সিভিল সার্জনকে ‘মবের’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে যেখানে চাঁদাবাজ পাওয়া যাবে সেখানেই ধরা হবে: ডিআইজি রেজাউল ডেঙ্গুতে রংপুরে ৩ জনসহ একদিনে আরও ৪২০ জন হাসপাতালে ভর্তি, একজনের মৃত্যু বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি কণ্ঠশিল্পী মনিরখান, ফেসবুকে অপপ্রচার চিলমারীতে বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশ সদস্যসহ আটক ২ নিজের হোটেলকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামায়াতকর্মীর বিরুদ্ধে
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

একাদশে ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা, বাদ পড়ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শিগগির। প্রতি বছর ভর্তির আগে নীতিমালা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি আবেদন, শিক্ষার্থী বাছাই, চূড়ান্ত ভর্তি, ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির একটি খসড়া নীতিমালা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এ নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনা হতে পারে কোটা বণ্টনের ক্ষেত্রে। এতে নতুন করে যুক্ত হতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা। যেখানে গণঅভ্যুত্থানে আহত বা তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।

একই সঙ্গে নীতিমালা থেকে বাদ পড়তে পারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রায় ৫৫ বছর পর এসে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা’ রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এজন্য এ কোটায় কলেজে ভর্তিতে আসন ফাঁকা বা সংরক্ষিত রাখার যৌক্তিকতা দেখছেন না তারা। নীতিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক থেকে একাদশে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদন করা হতে পারে।

২০২৪ সালে প্রণীত সবশেষ নীতিমালা অনুযায়ী—একাদশ শ্রেণিতে বর্তমানে মেধা কোটায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। অর্থাৎ, সবার জন্য ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি করানো হয়। যার মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন ২৮টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়।

ঢাকা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা প্রথা বাতিল করার পক্ষে মতামত দেবেন তারা। নাতি-নাতনি কোটা বাতিল হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে এখন আর কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাছাড়া পোষ্য কোটা নিয়েও দীর্ঘদিন সমালোচনা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের এ সুবিধা দেওয়ারও পক্ষে নয় শিক্ষা বোর্ডগুলো।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, নতুন করে কিছু কোটা যুক্ত হতে পারে। চব্বিশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবারই প্রথম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হচ্ছে। অনেক জুলাইযোদ্ধা এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন। তাছাড়া অনেকের পরিবারের সদস্যও এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবেন। তাদের জন্য সীমিত হারে জুলাইযোদ্ধা বা জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য কোটা রাখা হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমে বলেন, জুলাইয়ে যারা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় নিয়েছে। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও এ কারণে হয়তো ভালো ফল করতে পারেনি। যেহেতু ফলাফলের ভিত্তি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়, সেক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হবে। এদিক থেকে গণঅভ্যুত্থান কোটা রাখাটা জরুরি। সেটা হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য হবে। অর্থাৎ, আগামী দুই বা তিন বছরের জন্য এ কোটা থাকবে। পরে বিলুপ্ত করা হবে।

দেশের একটি শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কলেজপর্যায়ে ভর্তির বয়স নেই। ফলে এ কোটার প্রাসঙ্গিকতা কমে গেছে। উচ্চ আদালতের সর্বশেষ রায়ে (২০২৪ সাল) মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা সুবিধা বাতিল হওয়ায় এ কোটার পরিবর্তন জরুরি।

তিনি বলেন, স্কুলে ভর্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতিটি শ্রেণিতে একটি করে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। কলেজ ভর্তির ক্ষেত্রেও একই ধরনের ধারা যুক্ত হবে নাকি সরাসরি কিছু রাখা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ