‘আবু সাঈদের জন্য বিগত সরকার পতন হয়ে গেল, সরকারের কোনো উপদেষ্টা আজ আমার বাড়িতে এলেন না। এতে আমার মনে অনেক কষ্ট।’
আজ বুধবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে আজ কেউ নাই।
সবাইকে নিয়ে গেছে রংপুরে। আমি যাই নাই। আমার আবু সাঈদকে রেখে আমি কোথাও যাব না।’
এদিকে আজ বুধবার সকালে শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলী ও রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ফয়সাল রংপুরের পীরগঞ্জে বাবুনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ সময় উপাচার্য ড. মো. শওকত আলী বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে উঠেছেন বেরোবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী।’
খালাশপীর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খালাশপীর দারুল হুদা ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক নুরুল আমিন বলেন, ‘উপদেষ্টারা রংপুরে এসেছেন অথচ শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে আসেন নাই, এটা খুবই দুঃখজনক।
এতে আমরা মনঃকষ্ট পেয়েছি।’