শিরোনাম
হাসপাতালে আহতদের দেখতে উপদেষ্টা নেতাদের ভিড়; চিকিৎসা-উদ্ধার ব্যাহত, সমালোচনা স্কুল থেকে ছেলে ফিরলেও এখনো ফেরেননি ছেলেকে আনতে যাওয়া মা ২০ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচানো সেই শিক্ষিকা মেহেরীন না ফেরার দেশে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ: লোডশেডিংয়ে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলা মাইলস্টোন ট্রাজেডি; সারাদেশে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি ছেলেকে পেলেও তৃতীয় শ্রেণির আফিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন মা রাষ্ট্রীয় শোক থাকলেও স্থগিত হচ্ছে না এইচএসসি: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত : মো‌দি দগ্ধদের দেখতে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করুন: সারজিস মাইলস্টোন নয়, দিয়াবাড়ির ফাঁকা স্থানে বিমানটি নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তৌকির
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। বিমান বিধ্বস্তের পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক ছিল যে কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ ছিল না।’

বিমানটি যে ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে, সেই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীরা ছুটির ঘণ্টা পড়ার পর ক্লাস থেকে বের হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল জানিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, ‘এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল। কী ঘটছে তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসলো। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম—তারপর ধোঁয়া।

নিজের আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে।’

এ অবস্থায় দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন জানিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, ‘কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।’

ওই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের ভেতর গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচ-এর বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া উঠে গিয়েছিল। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।’এ অবস্থায় দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন জানিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, ‘কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ