ঈদের ছুটির শেষ দিনেও দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে হয়েছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ,যমুনা সেতুর ওপর যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনায় যানজট হওয়ার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। যমুনা সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের পরিমাণ।
রোববার (১৫ জুন) সকাল থেকে যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঢাকামুখী লেনে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে । রোববার (১৫ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫০ টাকা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। যমুনা সেতুর দুই পাশ দিয়ে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য দুইপাশেই দুটি আলাদা বুথ রাখা হয়েছে।
যমুনা সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমেদ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। যার ফলে সেতু পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ভোর থেকে শুরু করে যানবাহনের চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।