রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দফায় দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রাতভর চালানো এ হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলি ভূখণ্ড। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইফায়। ইরানি মিসাইল হামলায় আগুন ধরে যায় একটি জ্বালানিকেন্দ্রে। এতে নিহত হয় অন্তত ৩ ইসরায়েলি, আহত অন্তত ১৪ জন।
শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে রীতিমতো বজ্রের গতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে একের পর এক ইরানি মিসাইল। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলিদের মাঝে।
এদিন রাতের হামলার মূল লক্ষ্য ছিলো ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা। ইরানের দাবি, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফার একটি জ্বালানি কেন্দ্র। ধ্বংস হয়েছে জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামোর বেশিরভাগ অংশই। এর পাশের আবাসিক এলাকায় ইরানি মিসাইল বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে ৩ ইসরায়েলির।
ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলো ইরান। কিন্তু তারপরও ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এর আগে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় ইসরায়েলে নতুন করে হামলা শুরু করে ইরান। এ হামলা ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। হামলা চালানো হয়েছে হাইফা ও তামরায় শহরের। ইসরায়েল সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে বলে দাবি করে ইরান।
ইরানের আজ (শনিবার) রাতের হামলায় ইসরায়েলে বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
আলজাজিরা জানিয়েছে ইরানের হামলার ফলে ইসরায়েলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।