প্রায় দু’বছর ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দুর্ভিক্ষ আর অনাহারে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে উপত্যকাটির বহু শিশু ও সাধারণ মানুষ। বর্বতার মাত্রা ছাড়িয়ে ত্রাণকেন্দ্রে অসহায় মানুষদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নির্মম এই অত্যাচার আর গণহত্যার পরেও পশ্চিমাদের খুশি রাখতে নিরব ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে। ছোটখাটো নিন্দা জানানো ছাড়া বাস্তবে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেই আরব দেশগুলোর।
গাজায় চলমান বর্বরতার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ দেশই যখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তখন সেখানে ব্যতিক্রম কলম্বিয়া। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। গণহত্যাকারী দেশ আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলে কয়লা রফতানি বন্ধ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।
কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলে এক টন কয়লাও পাঠানো হবে না। আমি কলম্বিয়ার সকল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে সাবধান করছি। এটা আমার নির্দেশ। ইসরায়ের যতদিন নিরীহ মানুষের উপর বোমা ফেলবে, শত শত মানুষকে এভাবেই হত্যা করবে, ততদিন ইসরায়েল কলম্বিয়া থেকে কোনো কয়লা পাবে না। আমরা গণহত্যার অংশীদার হতে চাই না।
প্রায় এক বছর আগে ইসরায়েলে কয়লা রফতানি বন্ধে সরকারি নির্দেশ জারি করে পেট্রো সরকার। তবে, এ নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে কয়লা রপ্তানি চলু রেখেছে তার প্রশাসনের বেশকিছু কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন এই নেতা।
প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের ফলে নাখোশ লাতিন আমেরিকার বড় বড় সব বহুজাতিক কয়লা কোম্পানি। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে দেশটির কয়লা খাত। দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ রপ্তানি পণ্যটি ক্ষতির মুখে পড়লেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে কলম্বিয়া। প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের কয়লা চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই পূরণ হয় কলম্বিয়া থেকে কয়লা আমদানির মাধ্যমে।