স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে তার (ইশরাকের) ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।’
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
অপরদিকে আজ সোমবার (১৬ জুন) নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে একটি সভা করেছেন ইশরাক হোসেন। নগর ভবনে এটিই তার প্রথম সভা। যেই সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা রয়েছে। আর সাধারণত সভায় মেয়র যে আসনে বসেন সেখানেই তিনি বসেছেন।
আদালত থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে রায় দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও দীর্ঘদিনে শপথ নিতে পারেননি বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। শপথের ব্যবস্থা করতে নানা ধরনের কর্মসূচিও পালন করছেন ইশরাক হোসেন ও তার অনুসারীরা। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইশরাক একাধিকবার বলেছেন, মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর আয়োজন না করলে নিজেই তার কর্মী সমর্থক ও দক্ষিণ সিটির বাসিন্দাদের নিয়ে শহীদ মিনারে শপথ আয়োজন করবেন। এবার শপথ ছাড়াই মেয়রের আসনে বসে গেলেন ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন।