ইরানে মার্কিন হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। এ ছাড়া এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটি।
সোমবার (২৩ জুন) জর্ডানের সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানে চালানো হামলাকে কঠোরভাবে নিন্দা জানাচ্ছে, যা জাতিসংঘ সনদের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কিত নীতিমালাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে।
উত্তর কোরিয়া সরকারের মতে, এ ধরনের বিমান হামলা ইরানের সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘন করে এবং জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত নীতিমালার পরিপন্থি একটি আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে মুখপাত্র আরও বলেন, ইসরায়েলের ‘বেপরোয়া সাহসিকতা’ মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান উত্তেজনার মূল কারণ। তারা দাবি করে, ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডই এ অঞ্চলের অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।
এর আগে ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত থাকবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা চালানোর পর এটি তার প্রথম সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জায়োনিস্ট শত্রু একটি বড় ভুল করেছে, গুরুতর অপরাধ করেছে; এটিকে শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাচ্ছে; এটি এখনই শাস্তি পাচ্ছে।
পোস্টটির সঙ্গে একটি জ্বলন্ত ভবনের পটভূমিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি খুলির ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এটার ওপর ডেভিড তারকা চিহ্ন আঁকা রয়েছে, যা ইসরায়েলি প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন।