দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের নলবাড়ী গ্রামে অবস্থিত নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় ইছামতী নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। স্কুল ভবন থেকে নদীর ভাঙন এখন মাত্র তিন থেকে সাত ফুট দূরে পৌঁছে গেছে। এতে করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের পাশ ঘেঁষেই ইছামতী নদী। পশ্চিম পাশে অবস্থিত একতলা ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোর ঠিক পেছনেই নদীর ভাঙন অব্যাহত। নদীর তীর থেকে মাটি সরে গিয়ে স্কুল ভবন ক্রমেই বিপজ্জনক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। তাদের পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন ১৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারী। তবে নদীভাঙনের কারণে এখন বিদ্যালয়ের পরিবেশে পড়ালেখার পরিবর্তে আতঙ্কই ভর করেছে।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর্নিকা আক্তার বলেন,আমরা প্রতিদিন ক্লাস করতে গিয়ে ভয় পাই। কখন না জানি স্কুল নদীতে ভেঙে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শান্তভাবে পড়াশোনা করা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দা মিম শাহ বলেন,স্কুলটি ধসে পড়লে এলাকার শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পড়ে যাবে। তাই দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রশিদা বানু বলেন,
বছরের পর বছর ধরে নদীভাঙনের ভোগান্তি পোহাচ্ছি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হলে এখনই স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন,বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইতোমধ্যে পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে লিখিতভাবে জানানো হবে, যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুম এলেই ইছামতী নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে ভাঙন ধীরে ধীরে বাড়লেও এখন তা স্কুল ভবনকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এলাকাবাসীর জোর দাবি ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অচিরেই বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
–