কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়েছে। পরে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন প্রশিক্ষণ চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেজর সাদিককে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে, সুমাইয়া জাফরিনও স্বামীর সঙ্গে ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ।