শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল যমুনা, যোগ দিলো জামায়াত

ডেস্ক নিউজ : / ১০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবার (৯ মে) সকাল পর্যন্ত টানা চলেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডাকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে রাত যত গড়িয়েছে, ততই বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণ।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এনসিপি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী যমুনার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তারা ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ স্লেগানে মুখর করে রাখেন পুরো এলাকা। একই সময়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শতাধিক জামায়াত কর্মীও বিক্ষোভে যোগ দেন।

সকাল ৯টার দিকেও যমুনার গেটসংলগ্ন সড়ক ও আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, শতশত বিক্ষোভকারী গোল হয়ে বসে আছেন। ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’—এমন নানা স্লোগানে তারা আওয়াজ তুলছেন।

রাতভর চলে এই কর্মসূচি। রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে হাজির হন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। রাত ২টার কিছু আগে মাইক হাতে স্লোগান ধরেন নাহিদ ইসলাম, যার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির একটি অংশ যমুনার সামনে যোগ দেয়। রাত ২টার দিকে যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরও আগে রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের একদল নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এনসিপির এক নেতা মুরাদ হোসেন বলেন, ‘রাত থেকে আমরা আন্দোলনে আছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্বই ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু এখনো তা না হওয়ায় আমরা আবার রাজপথে নেমেছি।’

এই কর্মসূচি এখন আর শুধু একটি দলের সীমায় নেই। একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ইসলামি দল এতে একাত্মতা ঘোষণা করে যুক্ত হচ্ছে। সবার একই দাবি— আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দ্রুত রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা দিতে হবে।

এই আন্দোলন কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ