বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

আমার কিডনিতে অপারেশন, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা’ বলে আদালতে জামিন চান আফ্রিদি

ডেস্ক রিপোর্ট / ৮৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫

আদালতে আলোচিত ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ তৌহিদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘চার মাস আগে আমার কিডনিতে অপারেশন করা হয়। ইনসুলিন নেওয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ এসব বিষয় সামনে এনে আদালতে জামিন আবেদন করেছেন তিনি। তবে আদালত তাকে চিকিৎসার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবো।’

এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান। বেলা ১২টার দিকে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। ২টা ৫৬ মিনিটের দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

এজলাসে তোলার সময় তার মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে এজলাসে তোলা হয়। ২টা ৫৮ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন।

তৌহিদ আফ্রিদির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর এফিডেভিট দিয়ে আদালতকে বলেছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন, অব্যাহতি, খালাস পেলে তার আপত্তি নেই। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এটা একটা হত্যা মামলা। জামিনের ঘোরতর বিরোধীতা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন তৌহিদ আফ্রিদি। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বিচারককে সালাম দিয়ে বলেন, আমার বয়স ২৫ বছর। চার মাস আগে কিডনিতে অপারেশন করা হয়। ইনসুলিন নেয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টা কম পাওয়ার নেওয়া যায় কি না। এ সময় বিচারক বলেন, আপনার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।

এরআগে গত রোববার রাতে বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। পরদিন তার ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামির তালিকায় নাসির উদ্দিন ও তৌহিদ আফ্রিদির নামও রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ