ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। একইসঙ্গে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম বিশেষ অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন ইসহাক দার। আজ রবিবার প্রকাশিত ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল যে প্রকাশ্য এবং উসকানিমূলক হামলা চালিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার যে স্বাভাবিক অধিকার ইরানের রয়েছে, পাকিস্তান সেই অধিকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।’
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল যে প্রকাশ্য এবং উসকানিমূলক হামলা চালিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার যে স্বাভাবিক অধিকার ইরানের রয়েছে, পাকিস্তান সেই অধিকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।’
ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের স্মরণে গভীর শোক জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র ইরানের পাশে আছি। একই সঙ্গে ইসরাইলের অন্যায়, অবৈধ ও ভিত্তিহীন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ নিন্দা জানাই। বেসামরিক জনগণের ওপর চালানো এই হামলায় বহু নিরীহ প্রাণ ঝরে গেছে—এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।’
ইসহাক দার বলেন, ইসরায়েলের এই সামরিক পদক্ষেপ যখন গৃহীত হয়, তখন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইরানে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এ অবস্থায় ইসরায়েলের এ আক্রমণ সরাসরি আন্তর্জাতিক আইন, আইএইএর গঠনতন্ত্র এবং একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করে।
এই ধরণের আচরণকে বিশ্বব্যবস্থার জন্য ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি সতর্ক করেন, ‘এ ধরনের হামলা শুধু গোটা অঞ্চল নয়, সমগ্র বিশ্বের জননিরাপত্তার জন্য এক ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেবল সংহতি নয়—এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনা। না হলে এই বেপরোয়া আগ্রাসনের সংস্কৃতি ভবিষ্যতে বৈশ্বিক শান্তিকে চরমভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।