শিরোনাম
আলেম ওলামাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান: চরমোনাই পির নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন ক্রিকেটার নাসির-তামিমা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ বিএনপির কর্মীর বিরুদ্ধে মিডফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি মাছ কেনা নিয়ে আগারগাঁওয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হাসিনার উচ্চারিত ‘রাজাকার’ শব্দই হয়ে ওঠে তার পতনের সূচনার স্লোগান কিশোরগঞ্জে মাটি ছাড়াই সবজি চারা উৎপাদন করছে নিত্যানন্দ  পাটগ্রামে পানির তীব্র সংকটে আমন ধান রোপণে বিপাকে কৃষকরা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই জাতি নিরাপদ বাংলাদেশ পাবে : দেলাওয়ার হোসেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন

আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ : আসিফ নজরুল

ডেস্ক রিপোর্ট / ৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, এই ফরেনসিক বিশ্লেষনে দুটো বিষয় স্পস্ট হয়েছে। এক. পুলিশ আবু সাঈদকে টার্গেট করে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে।

দুই. আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো দেরি করা হয়নি, তাকে এমনভাবে গুলি করা হয়েছিল যে বাঁচার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এটা দেখে আমার আরেকটা জিনিস মনে হয়েছে। সেটি হচ্ছে আবু সাঈদ জেনে শুনেই খুন হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিবাদ করেছে।আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ।

এর আগে তিনি কোটা নিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন।

সেখানে লিখেন- ২০১০ সালের ঘটনা। ২৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রচন্ড মন খারাপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আমার বাসায় আসেন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার কারণে সুযোগ পানানি এই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা।

তাদের সাথে কথা বলার কিছুদিন পর কোটা নিয়ে আমার প্রথম কলাম লিখি ২৫ জুন ২০১০ সালে। প্রথম আলো-তে প্রকাশিত এই লেখার শিরোনাম ছিল কোটা (৫৫) বনাম মেধা (৪৫)।

তিনি আরো লিখেন, এই লেখার আগে শ্রদ্ধেয় একজন আইনজীবীর সঙ্গে এ বিষয়ে একটা মতৈক্য হয়। কোটা নিয়ে আমি লিখব, এরপর বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার কিছু অংশ সংবিধানবিরোধী—এই যুক্তিতে তিনি তা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে মামলা করবেন, মোটামুটি এই স্থির করি আমরা।

আমার লেখা ছাপা হলো, অনলাইনে বিপুলসংখ্যক পাঠকের সমর্থনও পাওয়া গেল।

কিন্তু এরপর আর শ্রদ্ধেয় আইনজীবী মামলা করতে রাজি হন না। তিনি সমাজে খুব প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংবিধানবিরোধী, এটি বললে তাঁকে জামায়াত-শিবির ভাবা হতে পারে, এই ভয় গ্রাস করে তাকে।

তার ভয় ভুল ছিল না। কোটা বাতিলের দাবীতে ২০১৩ সালে যে আন্দোলন হয় তাদের আখ্যায়িত করা হয় জামায়াত-শিবির হিসেবে।

এর প্রতিবাদ করে ২০১৩ সালে ১৪ জুলাই লিখি ‘কোটা বনাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা ব্যবস্থার নির্মমতা নিয়ে বহু লেখা লিখেছি। আলোচনা, বিবৃতি এবং রাস্তায় সক্রিয় থেকেছি। এই কোটা আন্দোলন থেকেই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিষ্ট শাসনের অবসান ঘটে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী ছাত্র-জনতার অবিনশ্বর অবদানের সাথে সাথে এই সময়ে স্বরণ করি এই আন্দোলনের সূচনালগ্নের তরুণদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ