রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

আন্দোলন ব্যর্থ হলে এরা অনেকেই আবার ছাত্রলীগে ব্যাক করত : শামীম পাটোয়ারী

ডেস্ক রিপোর্ট / ৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হলে অনেকে আবারও ছাত্রলীগে ফেরত যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সম্প্রতি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনব্যবস্থাটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল এবং ছাত্র মারা হচ্ছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে।

আন্দোলনকারী ছাত্ররা এখন বলে যে আমরা আন্দোলন না করলে ২৮ সাল পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হতো। বিএনপি যদি মাঠে না নামত শেষের দিকে, সবাই মিলে মাঠে না নামত তাহলে আন্দোলনটা ব্যর্থ হতে পারত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এরা অনেকেই আবার ছাত্রলীগে ব্যাক করত। বলত, আমরা একটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমরা আবার ফিরে আসছি।

ঐকমত্য কমিশন আরো জটিলতা সৃষ্টি করছে জানিয়ে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘আন্দোলনটা ছিল সিম্পল, সেই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করতে হবে। আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। গণপরিষদ সংবিধান করো, এটা করো সেটা করো, সো মেনি থিংস— এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল কুটিল অবস্থা করা হচ্ছে।

যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন। এই ঐকমত্য কমিশনের মুখ্য দায়িত্ব আমার মনে হচ্ছে জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে।’

সরকারের উচিত ছিল ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া। এখন শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা তৈরি করা কঠিন উল্লেখ করে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘যদিও বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে অনেক এক্সেপশন মানা হয়।

সংবিধানে কোথাও তিন তিন ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নেই। তিন তিন ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয়নি। এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল। দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নেই।

যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ হ্যাপি না, সুশাসন নেই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো। এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে।

এই অলমোস্ট ইম্পসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে, আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সে ক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। একটা ইনক্লুসিভিটি, একটা ফেয়ারনেস, একটা ট্রাজিশন, একটা স্যাক্রিফাইস- সব দিকেই বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ