বাংলাদেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার পথিকৃৎ ও পুরোধা ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। দেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার বিকাশ ও আধুনিকায়নে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। তাদের অনেকেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক সামন্ত লাল সেনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকে লিখছেন, অধ্যাপক সামন্ত লাল সারা বিশ্বেরই অন্যতম অভিজ্ঞ ও খ্যাতিমান বার্ন চিকিৎসক। অতীতে বহু দুর্ঘটনায় তার নেতৃত্বে পরিচালিত চিকিৎসা কার্যক্রমে প্রাণ পেয়েছে বহু মানুষ। দেশের সংকটময় মুহূর্তে তাকে কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না—এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বেলজিয়ামপ্রবাসী পিএইচডি গবেষক ও লেখক রাজু নূরুল লিখেছেন, ‘আপনারা কি জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে? সেটির প্রথম পরিচালক ছিলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় তার খ্যাতি আন্তর্জাতিক। সরকার নাকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনবে—এই বিদেশপ্রীতি বন্ধ করুন। এই মুহূর্তে আমাদের বাচ্চাদের চিকিৎসা দরকার। ডা. সেন ছাড়া এমন বড় দুর্যোগ সামলাতে পারে, এমন লোক আর আছে কি না, সন্দেহ।’
রাজু আরও লেখেন, ‘একজনের প্রাণও যদি বাঁচে, সেটাই মহামূল্যবান। দগ্ধদের চিকিৎসায় এখন তাকে দরকার।’
ফেসবুকে চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘দেশের মানবিক সংকটে ডা. সামন্ত লাল সেনকে চিকিৎসায় যুক্ত করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। চিকিৎসা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয়। এই মুহূর্তে মানুষের জীবন রক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
সাংবাদিক মাসুম আলী লিখেছেন, ‘ডা. সামন্ত লাল কারাগারে—এটা কি নিশ্চিত? কেউ বলছেন গ্রেপ্তার, কেউ বলছেন তিনি বাইরে। প্রকৃত সত্য জানা দরকার। তবে এটুকু বলা যায়, এই মুহূর্তে ওনার বিকল্প নেই।’
জানা গেছে, ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের বাসায় বা অন্য কোথাও আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর তিনি কারাগারে আছেন, তা সত্য নয়।