শিরোনাম
আজ ১৬ জুলাই, যেদিন বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আবু সাঈদ জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবে ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মী, ১০ হাজার বাস রিজার্ভ ছাত্রদলের দুই নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের অপরাধের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: চরমোনাই পীর শ্যামাসুন্দরী খাল নিয়ে যে পরিকল্পনার কথা জানালেন উপদেষ্টা দরপতন ঠেকাতে আরও ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক তিস্তার পানিতে ভাসতে পারে উত্তরের চার জেলা ২০২৫-২০২৬ইং অর্থবছরের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার ১২২ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪০ টাকা বাজেট ঘোষণা। ভুটানকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ। নাহিদ-সারজিসদের মার্চ টু গোপালগঞ্জ ঘিরে নেতাকর্মীদের সতর্ক করল আওয়ামী লীগ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

আজ ১৬ জুলাই, যেদিন বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আবু সাঈদ

আবু সায়েম, স্টাফ রিপোর্টার / ৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

সময় বয়ে যায়, কিন্তু কিছু ক্ষত শুকায় না। কিছু স্মৃতি স্থির হয়ে থাকে। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগের একটি দিন… ১৬ই জুলাই। যে দিনটিতে আমরা হারিয়েছিলাম এক প্রতিবাদী তরুণ, আবু সাঈদকে। আজকের এই দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের-বেরোবি প্রধান ফটকে পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বেরোবির ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ। সে সময় সকল মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবু সাঈদের বুকে গুলি করে হত্যা করেছিল স্বৈরাচার হাসিনার পুলিশ বাহিনী। দিনটি উপলক্ষে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ। প্রথমে অন্তর্বর্তী সরকার ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করেছিল। পরে পরিবর্তন করে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘জুলাই শহীদ দিবস’।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই শোক ঘোষণা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার উদ্দেশে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এদিন শহীদদের মাগফিরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের গুলিতে বুক ঝাঁজরা হয়ে যায় বেরোবির ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাঈদের। দাবি আদায় করতে গিয়ে পুলিশের সামনে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তিনি। উল্লেখ্য যে, ১৫ জুলাই নিজের ফেসবুকে আবু সাঈদ লিখেছিলেন, ‘আমি জীবন উৎসর্গের জন্য প্রস্তুত’ এবং পরদিন তার দৃঢ় আত্মত্যাগে আন্দোলন অম্লান হয়ে ওঠে রংপুরের বুকে, ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।

সেদিন যা ঘটেছিল ॥

চব্বিশ সালের ১৬ জুলাই দুপুরে রংপুর জেলা স্কুলের সামনে একত্রিত হন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বেরোবির মূল ফটক পর্যন্ত তারা অগ্রসর হন। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। হাজারো শিক্ষার্থী সেদিন জনসমুদ্রের রূপ নেয়। ‘ভুয়া, ভুয়া’, ‘দাবি আদায়ের’ স্লোগানে মুখর ছিল চারদিক। মাইকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে এসেছি। আমাদের ওপর কেউ আঘাত করলে সেই হাত গুঁড়িয়ে দেব। কচুরিপানার মতো ভেসে আসিনি, দাবি আদায় করেই ফিরব ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরাতে গেলে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। আনুমানিক আড়াইটায় গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সেদিনের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে একজন আবু সাঈদের এক স্বজন বলেন, সকালে সাঈদ ভাই ফোনে ডেকে নেন। আমরা খামারমোড়ে সমাবেশে যোগ দিই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে গেলে দেখি ভেতরে ছাত্রলীগ, বাইরে পুলিশ। ছাত্রলীগ ইট ছোড়ে, পুলিশ গুলি চালায়। সাঈদ ভাইকে সরাতে গেলে দেখি তিনি গুলিবিদ্ধ।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ