শিরোনাম
ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান ভারতের পাশে ইসরায়েল, পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক! জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় গণতন্ত্র উত্তরণে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, আপিল বিভাগে শিশির মনির ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প, জাতিসংঘের উদ্বেগ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: হাসনাত পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ডিআইজির কাছে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের স্মারকলিপি গোবিন্দগঞ্জে সরকারি ১শ’১৯ বস্তা চালসহ বিএনপি নেতা সাবু গ্রেপ্তার রংপুরে শিশুদের ঝগড়া ঘিরে উত্তেজনা, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও দুজনকে কুপিয়ে জখম চাঁদা না পেয়ে কাজে বাঁধা : চেয়ারম্যান-বিএনপি নেতার সঙ্গেও উচ্চবাচ্য বিএনপির ওয়ার্ড নেতার 
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন

আজ সোমবার দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’

ডেস্ক নিউজ / ৪৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে সোমবার একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিস। এছাড়া এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচিও পালন করবে সংগঠনটি।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাসসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সোমবার দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে, দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। এবার সারাদেশে তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিলেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা।

এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের মতো রোববার ‘সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থী’র ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনেও বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। পরে ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের পক্ষ থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে পাঁচ দফা দাবি জানায়।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

০১. ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে স্বৈরাচারের প্রথম টার্মে প্রদান করা হয়।

০৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসণে দ্রুত তম সময়ে শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

০৪. বেকার তৈরির কারখানা সকল ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। উল্লেখ্য এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাধায় ফেলে দেয়।

০৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ