শিরোনাম
আওয়ামী লীগ না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে : জয় নীলফামারীতে কিশোরগঞ্জে এতিমের বরাদ্দের চাল শিক্ষকের পেটে হাকিমপুরে জামায়াতের নির্বাচনী যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত  চালু হলো বহু প্রতীক্ষিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হয়রত আলী গ্রেফতার হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধ, হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন চাল শুধু মানুষের জন্য নয়, পশু ও অন্যান্য খাদ্যেরও ব্যবহার: আলী ইমাম মজুমদার ‘এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’- আদালত চত্বরে পলক তোর বাবা টাকা দিতে পারে না, তোকে পরীক্ষা দিতে হবে না, বলে বের করে দেয়
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

আজ চালু হচ্ছে তিস্তা নদীর ওপর ‘মওলানা ভাসানী সেতু’

স্থানীয় রিপোর্ট / ১৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষের। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে চলেছে বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় তিস্তা সড়ক সেতু বা মাওলানা ভাসানী সেতু।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সেতুর উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর পরেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রায় দেড় কিলোমিটার (১.৪৯ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সেতুটি কুড়িগ্রামের চিলমারী এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মানুষের বহুকালের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। এর আগে পাঁচ দফা সময়সীমা পেছালেও অবশেষে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসব আনন্দমুখর হয়ে উঠেছে। এ সেতুর মাধ্যমে দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং ঢাকার সাথে অঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ অনেকটা কমে আসবে। অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানে অনেক উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিস্তা নদীর বুকে এটি হলো তৃতীয় সড়ক সেতু। তবে ধৈর্ঘ্যে এই সেতুটিই সবচেয়ে বড়।

প্রথম তিস্তা সড়ক সেতুটি নির্মিত হয় ২০১২ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা এলাকায়, যার দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার এবং ব্যয় হয়েছিল ৮৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয়টি নির্মিত হয় ২০১৮ সালে রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে। সেটির দৈর্ঘ্য ৮৫০ মিটার এবং ব্যয় হয়েছিল ১৩১ কোটি টাকা।

এবার চালু হতে যাচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক তৃতীয় সেতুটি, যা উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ