নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাহিয়া আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আইফোন কিনতে বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়া আক্তারের দুই সহপাঠী সিফাত মিয়া ও সিনথিয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। মাহিয়া একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তিনি উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকার মাহবুব আলমের মেয়ে।
ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে- এমন সংবাদ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই শিক্ষার্থীর মা নাসরিন আক্তার রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দেন। ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
অভিযোগের পর পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাটি তদন্ত করতে থাকে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে বেশ কিছুদিন ধরে মাহিয়া একটি আইফোন মোবাইল কেনার চেষ্টা করছিলেন। আইফোন কিনতে মাহিয়া আক্তার তার দুই সহপাঠী সিফাত ও সিনথিয়া আক্তারের সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে তিনি মুড়াপাড়া কলেজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন।
সিফাত অপহরণকারী সেজে তার মাকে ফোন দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করবে বলে হুমকি-ধমকি প্রদান করতে থাকেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাহিয়ার বান্ধবী সিনথিয়ার বাড়িতে অবস্থান করেছেন বলে সিনথিয়া আক্তারের পরিবার নিশ্চিত করেন। গত বুধবার মাহিয়া আক্তার তার পরিবার থেকে টাকা না পেয়ে বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে তুষকা সিরাপ কিনে এনে অর্ধেক খেয়ে মুড়াপাড়া কলেজের পেছনে পড়ে থাকেন। সিফাত মাহিয়ার বাড়িতে ফোন দিয়ে বলে, যেহেতু টাকা দেননি, আপনার মেয়েকে কলেজের পেছনে ফেলে গেলাম।
এ ঘটনায় আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়া আক্তারের সহপাঠী সিফাতকেও আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’