নিজের কষ্ট বুকে চেপে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো যে মানুষটি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, আজ সেই সাজু মিয়া চরম অসহায়ত্বের শিকার।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক জটিল অপারেশনের পর অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা থমকে গেছে। শুধু সাজু মিয়া নন, তার স্ত্রী মোছাঃ মৌসুমি আক্তার এবং এক প্রতিবন্ধী কন্যাসন্তানও অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের করুণ দশা দেখে মানবিক সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন সাজু মিয়ার পরিবার।
জানা গেছে, মিঠাপুকুরের রাণীপুকুর ইউনিয়নের দৌলত নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজু মিয়ার পেটের ভেতরের “নার” কেটে ফেলা হয়েছে। এটি ছিল একটি অত্যন্ত জটিল অপারেশন। অপারেশনের পর এখন তার সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা, নিয়মিত ওষুধ এবং পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত এই পরিবারটির পক্ষে ন্যূনতম চিকিৎসা ব্যয় বহন করাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলস্বরূপ, সাজু মিয়া রাতভর যন্ত্রণায় ছটফট করছেন, আর তার পাশে বসে স্ত্রী ও সন্তান অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকেন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সাজু মিয়ার এমন অবস্থায় তার স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। তারা না পারছেন স্বামীর বা বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে, না পারছেন নিজেদের দু’বেলা খাবারের সংস্থান করতে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাজু মিয়া ও তার পরিবার সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের সামান্য সহায়তা এই অসহায় পরিবারটির জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং সাজু মিয়াকে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখাতে পারে। আসুন, এই দুঃসময়ে আমরা সবাই সাজু মিয়া ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াই।
রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ পুটু জানান, “সাজু মিয়া একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ। তার এই হঠাৎ অসুস্থতায় আমরা সবাই মর্মাহত। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি, তবে তার চিকিৎসার জন্য আরও অনেক অর্থের প্রয়োজন। আমি সমাজের বিত্তবান এবং হৃদয়বান মানুষদের প্রতি বিনীত আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন সাজু মিয়ার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।”
সাজু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ নাম্বার:- 01945045439