নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই অনিয়মের খবর যাতে প্রকাশ না পায়, সে কারণে সাংবাদিকদের অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর ভিজিটিং কার্ড নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী কাউকে ১ হাজার, আবার কাউকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে। এসব অনিয়মের তথ্য সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছালে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাদের ডেকে এনে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, এই ধরনের লেনদেন কেবল সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা নয়, প্রশাসনিক স্বচ্ছতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের কার্য সহকারী অশোক রায় বলেন, জেলার বিভিন্ন সাংবাদিকদের ডেকে এনে তাদের ভিজিটিং কার্ড নিচ্ছি। গ্রেড অনুযায়ী কাউকে ১ হাজার, কাউকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাংবাদিক জানান, প্রতি বছর অর্থবছরের শেষে এমনভাবে টাকা দেওয়া হয় যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম হলেও গণমাধ্যমে তা উঠে না আসে।
নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে কীভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আপনি পিআইওর সঙ্গে কথা বলুন।